প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস
• চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানাধীন উপজেলা সদর থেকে ০৮ কি.মি. উত্তর দক্ষিণে প্রত্যন্ত মফস্বল অঞ্চলে ১৯৬৫ খ্রিঃ আশিয়া উচ্চ বিদ্যালয় আত্নপ্রকাশ করে। মরহুম কাদের বকসু সওদাগর, মরহুম আবুল কাশেম সওদাগর ও মরহুম ইছহাক মাষ্টারের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায়, সহযোগীতায় কে.বি. নিম্ন মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়টি কালান্তরে আশিয়া উচ্চ বিদ্যালয় নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। এ বিদ্যালয়টি ১৯৭৩ খ্রিঃ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি লাভ করে। সর্বস্তরের জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ প্রতিষ্ঠানের বর্তমান জমির পরিমাণ ১৭৮.৫ শতাংশ। অব্যক্ত দৈনতার ভিতরে ও এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান শুরু থেকে সদরের স্কুলগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে সমানে সমানে রয়েছে। বিগত বছরের ফলাফলের আলোকে S.S.C পরীক্ষায় A+ সহ পরীক্ষার ফলাফল অনেক সন্তোষজনক। একটা আর্দশ মডেল স্কুল পরিণত হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা নিয়ে প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ আব্দুল জলিল (এমএ,এমএড) এর নেতৃত্বে সুশৃংখল এবং দক্ষ শিক্ষিক-শিক্ষিকাবৃন্দদের নিয়ে ছান্দিক গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বিদ্যালয়টি। বর্তমানে বিদ্যালয়ে সুসংসহত বিজ্ঞানাগর, স্বয়ং সম্পূর্ণ একটি লাইব্রেরী ও কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা স্বাস্থ্যকর শৌচাগার ও সূপেয় পানির সুবিধা। সর্বমোট ৭৫৭ জন শিক্ষার্থীর সমাবেশ এ বিদ্যালয়ে।
• আশিয়া এলাকার সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করার জন্য গ্রামের নাম অনুসারে আশিয়া উচ্চ বিদ্যালয় নামকরণ করা হয়। আশিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, গ্রাম+ডাকঃ আশিয়া, ওয়ার্ড নং-০৫, ইউনিয়নঃ ০৮ নং (ক) আশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ। পোষ্টকোড নং-৪৩৭০, উপজেলাঃ পটিয়া, জেলাঃ চট্টগ্রাম। পটিয়া উপজেলা সদর আরকান বিশ্বরোড় (আমজুরহাট) থেকে দক্ষিণে ৪.৫০ কি.মি. দূরে আশিয়া বাংলা বাজারের পাশে অবস্থিত।
প্রতিষ্ঠান পরিচিতি
ভূমিকাঃ শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষা লাভের জন্য চাই আদর্শ বিদ্যাপীঠ। এক সময় শিক্ষা ছিল আশ্রম কেন্দ্রিক। শিক্ষার্থী সেই সময় আশ্রমে থেকেই গুরুর কাছ থেকে শিক্ষা লাভ করত । আদর্শ বিদ্যালয় এক-একটি আশ্রম বিশেষ । এমনই একটি আশ্রম আমাদের বিদ্যালয় । এ বিদ্যালয়ের নাম আশিয়া উচ্চ বিদ্যালয়।
প্রতিষ্ঠাঃ আশিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত । বিদ্যালয়টি ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হয় । বিদ্যালয় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যাপীঠ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
অবস্থানঃ চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলা সদর থেকে ০৮ কি.মি. উত্তর-দক্ষিণে প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত। এ বিদ্যালয়ে উত্তর পাশে বিপননন্দী একটি রাস্তা রয়েছে। জেলা ও উপজেলা সদর থেকে বিদ্যালয়ে সহজেই আসা যায়।
বিদ্যালয়ের পরিবেশঃ বিদ্যালয়টি অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। বিশাল প্রাঙ্গনে দুইটি দ্বিতল ভবন এবং একটি নতুন তৃ-তল ভবন আছে । বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণি দুটি, ৭ম শ্রেণি দুইটি, ৮ম শ্রেণি তিনটি, ৯ম শ্রেণি দুইটি এবং ১০ম শ্রেণিতে দুটি সহমোট ১১ (এগার) টি শাখা রয়েছে । প্রতি শাখার জন্য রয়েছে আলাদা ও পরিপাটি শ্রেণিকক্ষ । প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের নিজস্ব মনোরম কক্ষ রয়েছে । আলাদা অফিস কক্ষ, আলাদা শিক্ষক মিলানায়তন, সু-বিশাল হল রুম আছে এবং একটি যুগপযোগী খেলার মাঠ আছে ।বিদ্যালয় আলাদা পাঠাগার, আলাদা কম্পিউটার ল্যাব ও আলাদা বিজ্ঞানাগার আছে । সেখান থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা সু-শৃঙ্খল পরিবেশে জ্ঞান অর্জন করতে পারে।
শিক্ষার্থীঃ এ বিদ্যালয়ে প্রতিটি শ্রেণিতে দুইটি করে শাখা । প্রতি শাখায় আশি করে শিক্ষার্থী, ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত মোট শিক্ষার্থী ৭৫৭ জন । প্রত্যাহিক সমাবেশে সকল শিক্ষার্থী যখন জাতীয় সংগীত পরিবেশনের জন্য একসঙ্গে দাড়াই, তখন মনে হয় এ যেন শিক্ষার্থীদের এক বিশাল মিলনমেলা।
শিক্ষক-শিক্ষিকাঃ মোট আঠার জন সু-যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা বিদ্যালয়ের শ্রী-বৃদ্ধি করেছেন । প্রধান শিক্ষক একজন উচ্চশিক্ষিত শিক্ষাবিদ । তিনি শিক্ষার্থীদের প্রাণ দিয়ে ভালবাসেন । অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাগনও উচ্চশিক্ষিত, প্রশিক্ষন প্রাপ্ত, অভিজ্ঞ এবং শিক্ষাদানের সমস্ত কৌশলে পারদর্শী । ফলে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ফলাফল সন্তোষজনক ।
লেখাপড়ার পদ্ধতিঃ সপ্তাহ পাঁচদিন বিদ্যালয় খোলা থাকে। শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। প্রতিদিন সাতটি ক্লাস হয় । সপ্তাহিক ও মাসিক সব বিষয়ে মূল্যায়ন পরীক্ষা হয় । এ ছাড়া বছরে দুহটি পরীক্ষা হয় ও অর্ধ-বার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে চুড়ান্ত ফল তৈরি করা হয়।
গবেষাগারঃ পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞান, কৃষিশিক্ষা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারিক ক্লাসের জন্য গবেষণাগার এবং কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে।
সহপাঠ্যক্রমঃ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটি অনেক বড়। মাঠে নিয়মিত খেলাধুলা হয়। লেখাপড়া, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিচরণ ও বাস্তবধর্মী কাজকর্মে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে নেই । এ ছাড়া বয়স্কাউট ও গার্লসস্কাউটেরা নানা ধরনের সেবা মুলক কাজকর্মের জন্য যথেষ্ট গৌরব অর্জন করে চলেছে।
পরীক্ষার ফলাফলঃ প্রতি বছরই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় ভালো ফল অর্জন করে। এসএসসি পরীক্ষায় A+ সহ ফলাফল সবার দৃষ্টি কাড়ে।
উপসংহারঃ একটি আদর্শ বিদ্যালয় বলতে যা বোঝায় এ বিদ্যালয় তাই । মনোরম পরিবেশ, জ্ঞাণী-গুণী শিক্ষক আর ভাল ফলাফলের জন্য বিদ্যালয় অতুলনীয়। এ বিদ্যালয় সবসময় দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হোক এই প্রত্যাশা শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।.....
বিস্তারিত